♦ বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে কবে?
= ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে [১৩৬ তম দেশ হিসেবে, ২৯ তম অধিবেশনে]।
♦ জাতিসংঘে বাংলাদেশের চাঁদার হার কত?
= ০.০১ শতাংশ।
♦ শেখ মুজিবর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দেয় কবে?
= ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে।
♦ বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে
অংশগ্রহণ করে কবে?
= ১৯৮৮ সালে [ইরাক-ইরান মিশনে]।
♦ জাতিসংঘের মোট কতজন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেন?
= ৫ জন [১. কুর্ট ওয়াল্ড হেইম (১৯৭৩), ২. পেরেজ দ্য কুয়েলার (১৯৮৯), ৩. কফি আনান (২০০১), ৪. বান কি মুন (২০০৮, ২০১১), এন্তিনিও গুতেরেস (২০১৮)]।
♦ বাংলাদেশ কতবার নিরাপত্তা পরিষদ (স্বস্তি পরিষদ) এর অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে?
= ২ বার [ ১. ১৯৭৯-১৯৮০ সালে, ২. ২০০০-২০০১ সালে]।
♦ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি কে?
= হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী [৪১তম অধিবেশন, ১৯৮৬ সালে]।
♦ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি কে?
= আনোয়ারুল করিম চৌধুরী [২০০১ সালে]।
♦ জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১ম স্থায়ী প্রতিনিধি কে?
= ড. এ. কে. এম আব্দুল মোমেন।
♦ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি নিযুক্ত হন কোন বাংলাদেশী?
= আমিরা হক।
♦ বর্তমানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কে?
= মাসুদ বিন মোমেন
♦১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের উপর যে গণহত্যা সংঘঠিত হয়, তৎকালিন জাতিসংঘ মহাসচিব উথান্ট এই গণহত্যাকে নিন্দা করে একে ‘মানব ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
♦ ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রথম জাতিসংঘে বাংলাদেশের মানুষের বক্তব্য বাংলাদেশের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থাপিত হয়।
♦ ১৯৭৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে কুর্ট ওয়াল্ডহেইম বাংলাদেশ সফরে আসেন।
♦ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির লক্ষ্যে তৎপরতা চালায়। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে চীনের ভেটো প্রয়োগের কারণে পর পর দু’বার বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হতে ব্যর্থ হয়।
♦ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৩৬ তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে যোগদান করে।
♦ যোগদানের এক সপ্তাহ পর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।
♦ জাতিসংঘে সদস্যপদ লাভের এক বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়।
♦ ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দু’বার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) এর সদস্য হিসেবে কাজ করে।
♦ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হুমায়ুন রশিদ চৌধূরী ১৯৮৬-৮৭ মেয়াদে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
♦ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ২ বার নির্বাচিত হয়, প্রথমবার জাপানকে পরাজিত করে ১৯৭৯-১৯৮০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০০০-২০০১ সালে।
♦ বাংলাদেশ ২০০০ সালের মার্চ মাসে এবং ২০০১ সালের জুন মাসে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
♦ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৮৫ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
♦ এছাড়া বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৩-২০০০ মেয়াদে এবং ২০০৬-২০০৮ মেয়াদে কাজ করে।
♦ ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে যোগদানের মধ্য দিয়ে এদেশের সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্য জাতিসংঘের পতাকাতলে একত্রিত হয়।
♦ ১৯৯০-৯১ সালে প্রথম আরব উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনীতে বাংলাদেশের ২১৯৩ জন সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করে। সেটিই ছিল জাতিসংঘের বাইরে কোনো একক দেশের নেতৃত্বে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ।
♦ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া সৈন্যদের প্রশিক্ষণে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট ট্রেইনিং’ (বিপসট) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী শান্তি মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে।
♦ বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ পরিবারের সদস্য হয় নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে।