এটি পড়লে চর্যাপদ এর জন্য আর পড়তে হবে না।
বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কি? ——-চর্যাপদ।
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের কাব্য নিদর্শন? —–আদি যুগ।
চর্যাপদ এক প্রকার —-গান ও কবিতা।
চর্যা শব্দের অর্থ কি? —-আচরণ।
চর্যাপদের অন্য নাম কি? —–চর্যাগীতিকোষ বা দোহাকোষ।
‘চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়’নামটি দিয়েছিলেন কে? —–হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি? —–বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সঙ্গীত।
চর্যাপদ রচিত হয় কোন আমলে? ——–পাল আমলে।
চর্যাপদ রচিত হয় কত সনে? -শহীদুল্লাহর মতে ৬৫০-১২০০ খ্রীঃ; সুনীতিকুমারের মতে ৯৫০-১২০০ খ্রীঃ
চর্যাপদের বয়স আনুমানিক কত বছর? —-১০০০ বছর।
চর্যাপদ আবিষ্কারের সূত্র কি? —১৮৮২ সালে প্রকাশিত রাজেন্দ্রলাল মিত্রের “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থের সূত্র ধরে চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়।
চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সনে? —-১৯০৭ সালে (বাংলা ১৩১৪)।
চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে? —-নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে।
চর্যাপদ আবিষ্কার করেন কে? -মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (৩ বারের চেষ্টায়)।
চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কত সনে? ————১৯১৬ সালে।
চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কোথা হতে? –কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায়।
চর্যাপদ প্রকাশিত হয় কি নামে? —“হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে।
নেপালের রাজগ্রন্থাগারে চর্যাপদের সাথে প্রাপ্ত ডাকার্ণব ও দোহাকোষ বই ৩টি কোন ভাষায় লেখা? —অর্বাচীন অপভ্রংশ।
চর্যাপদের পদসংখ্যা কয়টি?——-শহীদুল্লাহর মতে ৫০ টি; সুকুমার সেনের মতে ৫১ টি।
চর্যাপদের কয়টি পদ পাওয়া গিয়েছে? —–সাড়ে ৪৬ টি।
চর্যাপদের কোন কোন পদগুলো পাওয়া যায়নি? →২৩(এর ৬টি লাইন পাওয়া গেছে)
কোন পদগুলি পাওয়া যায় নি? →২৪,২৫,৪৮নং পদ।
কোন পদটি আংশিক পাওয়া গেছে? ———–২৩ নং পদ।
২৩ নং পদের রচয়িতা কে? ——–ভুসুকু পা।
চর্যাপদের পদকর্তা কতজন? – শহীদুল্লাহর মতে ২৩ জন (Buddist Mystic Songs); সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন (বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস)।
চর্যাপদের আদি কবি কে? —– লুইপা।
চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ কবি কে? ——–শবর পা (লুইপার গুরু)।
চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা কে? —–লুইপা।
চর্যাপদের প্রথম পদটি কি? —“কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল/চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল”।
চর্যাপদের অনুমিত মহিলা কবি কে? ———কুক্কুরী পা।
চর্যাপদের বাঙালি কবি কে কে? ———-শবর পা, লুইপা, ভুসুকু পা, জয়ানন্দ।
চর্যাপদের প্রথম বাঙালি কবি কে? ——–মীননাথ/মাৎসেন্দ্রনাথ।তাঁর কোন পূর্ণাঙ্গ পদ পাওয়া যায়নি।
চর্যাপদের আধুনিক্ পদকর্তা কে? ——সরহপা>ভুসুকুপা।
চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন কে? —কাহ্নপা (অপর নাম কৃষ্ণাচার্য)।
কে কয়টি পদ রচনা করেন?
—–কাহ্নপা-১৩টি,
—–ভুসুকুপা-৮টি,
—–সরহ পা-৪টি,
—–লুই-শান্তি-শবরী এরা ২টি করে,
—–বাকিরা ১টি করে।
—-তন্ত্রীপা ও লাড়িডোম্বীপার কোন পদ পাওয়া যায়নি।
চর্যাপদের ভাষা কি? ————প্রাচীন বাংলা।
শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের ভাষা কিরূপ? ———বঙ্গকামরূপী।
চর্যাপদের ভাষা বাংলা-কে প্রমাণ করেন? ————সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
সুনীতিকুমারের মতে চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের ভাষার নমুনা পরিলক্ষিত হয়? —-পশ্চিম বাংলার প্রাচীন কথ্য ভাষা।
চর্যাপদের ভাষা কে আলো আধারি ভাষা বলেছেন কে? ——–হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
চর্যাপদের ভাষা হল প্রচ্ছন্ন ভাষা-কে বলেছেন? ———ম্যাক্স মুলার।
চর্যাপদের বেশিরভাগ পদ কত চরণে রচিত? ——–১০ চরণ।
চর্যাপদে কতটি প্রবাদ বাক্য পাওয়া যায়? ———-৬টি।
অপণা মাংসে হরিণা বৈরী-প্রবাদটির রচয়িতা কে? ——ভুসুকু পা।(সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র)
চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন কে? ———–মুনিদত্ত।
মুনিদত্ত কোন পদটি ব্যাখ্যা করেন নি? ————-১১ নং পদ।
চর্যাপদের সহোদর ভাষা কি কি? ———অসমিয়া ও উড়িয়া।
চর্যাপদের ভাষায় প্রভাব রয়েছে কোন কোন ভাষার? —হিন্দি, অপভ্রংশ (মৈথিলী), অসমিয়া, উড়িয়া।
চর্যাপদের ভাষা দুর্বোধ্য হওয়ার কারন কি? —তন্ত্র ও যোগের প্রতাপের জন্য।
সর্বপ্রথম চর্যাপদের ভাষা নিয়ে আলোচনা করেন কে? ———-বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০)।
চর্যাপদের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করেন কে? –সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯২৬)
চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন কে? ———শহীদুল্লাহ (১৯২৭)।
চর্যাপদের তিব্বতীয় অনুবাদ প্রকাশ করেন কে? —-প্রবোধচন্দ্র বাকচি
pdf file ki paya jabe.
অসাধারণ একটি তথ্য বহুল পোস্ট
Excellent collection