বানান রঙ্গ

মোটাতাজা হয়ে গরু হলো এখন গোরু!
বানান নিয়ে একাডেমি করলো একি শুরু?
চিরচেনা ঈদটা এখন যেন কাপড় ছাড়া!
কোন অভাবে ইদের কাপড় কেড়ে নিলো তারা?
এসব দেখে দর্জি এখন হয়ে গেলো দরজি!
যে যাই বলুক একাডেমির কর্তাদের সব মর্জি!
মাঝখানটায় মোটা হয়ে পটল হলো পটোল।
ঢাকি যেমন ঝুলিয়ে কাঁধে বাজায় ঢাকঢোল।
স্বাগতম বলবো না আর বলবো এখন স্বাগত!
ফুল দিয়ে করবো বরণ এলে নবাগত।
কৈ এখন কই হয়েছে ব্যাঙ হয়েছে ব্যাং
ঈগল এখন ইগল হলো হারিয়ে তার ঠ্যাং।
বৌ কে তারা বউ করেছে ভিডিও কে ভিডিয়ো
আগের মতো না শোনলেও অডিও এখন অডিয়ো।
ঘুষ এখন ঘুস হয়েছে করেছে ঘাসের সমান
ঘুস খাওয়া আর ঘাস খাওয়াতে কি আছে সম্মান?
রাণী যেন গয়না বিহীন হলো এখন রানি!
এই দেখে প্রজাদের হায় কতো কানাকানি!
ঠেলাগাড়ি ঠেলতে ঠেলতে হলো ঠ্যালাগাড়ি!
কেউ কেউ বলেন এসব নাকি শুধুই বাড়াবাড়ি।
ক্রিম মেখে কেউ ফর্সা হয়নি এখন হবে ফরসা!
আষাঢ় শ্রাবণ ঠিকই আছে বাংলাদেশের বর্ষা।
সামলাও তবে ঠেলা এবার বদলে হলো ঠ্যালা।
আস্তে আস্তে বলবো সবি আছে আরো মেলা।
সাথীর বদল সাথি এসে ঠিক রেখেছে সঙ্গ!
চলছে বাংলা একাডেমির বানান নিয়ে রঙ্গ!
অংকে ভীষণ ভয় ছিলো মোর এই অঙ্কেও তাই।
পরীক্ষাতে কত পেতাম শোনার দরকার নাই।
পীর সাহেবরাও ছাড় পাননি বদলে হলেন পির!
মাজারে যদিও আগের মত ঠেকায় না কেউ শির।
লিখেছেন: নাহিদুল হক (সিঙ্গাপুর থেকে)।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন