বাংলাদেশ রিভিশনঃ ৪র্থ খণ্ড

১। বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়- ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫
২। ভাষা আন্দোলনের ফলে কোন প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়েছিল? – বাংলা একাডেমি
৩। বাংলা একাডেমির ১ম মহাপরিচালক কে ছিলেন? – ড. মাযহারুল ইসলাম
৪। পাকিস্তানের ১ম শাসনতন্ত্র রচিত হয়- ১৯৫৭ সালে
৫। পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ১ম প্রেসিডেন্ট – ইস্কান্দার মির্জা
৬। ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন হয়- ১৯৫৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী
৭। পাকিস্তানকে বিদায় জানাইতে ‘আসসালামু আলাইকুম ‘কে বলেছিলেন? – মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
৮। পাকিস্তানের ১ম সামরিক শাসন জারি হয় কবে?- ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর
৯। পাকিস্তানের ১ম সামরিক শাসন কে জারি করেন?- ইস্কান্দার মির্জা
১০। আইয়ুব খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন- ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর

১১। পূর্ববঙ্গের নাম কখন পূর্ব পাকিস্তান করা হয়?- ১৯৫৬ সালে
১২। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী, লাহোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয়দফা ১ম পেশ করেন।
১৩। ছয়দফা ঐতিহাসিক ‘লাহোর প্রস্তাব’ এর ভিত্তিতে রচিত।
১৪। ছয়দফা দাবির ১ম দাবি – পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন
১৫। ছয়দফা কর্মসূচি বাঙালি জাতির ‘মুক্তির সনদ’ (ম্যাগনেকার্টা) হিসাবে পরিচিত।
১৬। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় – ১৯৬৮ সালের ১৮ জানুয়ারী
১৭। আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলার মোট আসামি – ৩৫ জন (প্রধান আসামি ছিলেন – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)
১৮। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয় – ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী
১৯। শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু ‘ উপাধিতে ভূষিত করা হয় – ২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯
২০। সর্বদলীয় ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ‘ কতদফার ভিত্তিতে আন্দোলন করে? – ১১ দফা

২১। পাকিস্তানের ১ম জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়- ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর
২২। পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো- ১৬৭ টি আসন
২৩। ‘স্বাধীনতার ইশতেহার ‘ ১ম পাঠ করা হয় – ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ
২৪। ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ‘ গঠিত হয়- ১৯৭১ সালের ১ মার্চ
২৫। বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতিরজনক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় – ৩ মার্চ, ১৯৭১
২৬। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কয় দফা দাবি পেশ করেন? – ৪ দফা
২৭। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১সালের ৭ মার্চ ভাষণের সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন চলছিল – পূর্ব পাকিস্তানের অসহযোগ আন্দোলন
২৮। মুক্তিযুদ্ধের ১ম সশস্ত্র প্রতিরোধ কোথায় সংঘটিত হয়?- জয়দেবপুর, গাজীপুর (১৯ মার্চ, ১৯৭১)
২৯। কোন সাংকেতিক নামে পাকিস্তানি বাহিনী ১৯৭১সালের ২৫শে মার্চেের মধ্যরাতে নিরীহ বাঙালিদের উপর হামলা শুরু করেছিলো- অপারেশন সার্চলাইট
৩০। বিশ্বে কোন দেশ দুটির স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রয়েছে? – বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র

৩১। বঙ্গবন্ধু ২৬ শে মার্চের ১ম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ওয়ারলেস যোগে চট্টগ্রামে প্রেরণ করেন।
৩২। ১৯৮০ সালে ২৬ মার্চকে ‘স্বাধীনতা দিবস’/’ জাতীয় দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
৩৩। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
[‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ‘ কবে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করে? – ১০ এপ্রিল, ১৯৭১]
৩৪। মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে – ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
[বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রের ঘোষণা হয়েছিল – ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১]
৩৫। ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ – ১৭ এপ্রিল
৩৬। মুজিবনগর সরকারের প্রধান ছিলেন – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৩৭। মুজিবনগর কোথায় অবস্থিত?- মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়ায়
৩৮। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পঠিত হয়- ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ (পাঠ করেন -অধ্যাপক ইউসুফ আলী)
৩৯। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কার্যকর হয়- ২৬ মার্চ, ১৯৭১
৪০। বাংলাদেশের ১ম রাষ্ট্রপতি – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন – সৈয়দ নজরুল ইসলাম)

৪১। বাংলাদেশের ১ম প্রধানমন্ত্রী – তাজউদ্দীন আহমদ (মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী)
৪২। মুজিবনগর সরকারে প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শ্রম এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন- তাজউদ্দিন আহমদ
৪৩। মুজিবনগর সরকারে অর্থ, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রী ছিলেন – ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী
৪৪। মুজিবনগর সরকারে পররাষ্ট্র, আইন মন্ত্রী ছিলেন- খন্দকার মোশতাক আহমেদ
৪৫। মুজিবনগর সরকারে স্বরাষ্ট্র,কৃষি, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন – এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান
৪৬। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন? – কর্ণেল এম এ জি ওসমানী (এমএজি ওসমানীর বাড়ি সিলেট জেলায়)
৪৭। সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য – ৯জন
৪৮। সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন – মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
৪৯। আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে জারি করা হয়? – ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
৫০। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে গৃহীত হয়?- ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১

৫১। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১ম প্রধান – এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে. খন্দকার
৫২। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ১ম কোথায় স্থাপিত হয়েছিল? – কালুরঘাট
৫৩। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়? – ১১টি
৫৪। মুক্তিবাহিনীর ‘ওয়ার স্ট্রাটেজি’ কি নামে পরিচিত? – তেলিয়াপাড়া স্ট্র্যাটেজি
৫৫। সেক্টর এবং কমান্ডারঃ
★১নং- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, ফেনী – মেজর রফিকুল ইসলাম
★২নং- ঢাকা, ফরিদপুর, নোয়াখালী -মেজর খালেদ মোশাররফ
★৩নং- হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ- মেজর কে এম শফিউল্লাহ
★৪নং- সিলেট – মেজর সি আর দত্ত
★৫নং – সিলেট – মেজর মীর শওকত আলী
★৬নং- রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট- উইং কমান্ডার এম কে বাশার
★৭নং- রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ – মেজর নাজমুল হক
★৮নং- কুষ্টিয়া(মুজিবনগর), যশোর – মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
★৯নং- বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, সুন্দরবন – মেজর আবদুল জলিল
★১০নং- নৌপথ – নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলো না
★১১নং- ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল – মেজর এম আবু তাহের
৫৬। ঢাকার গেরিলা দল ‘ক্র্যাক প্লাটুন ‘ নামে পরিচিত।
৫৭। বাংলাদেশের নৌ-কমান্ডারদের অভিযানের সাংকেতিক নাম – অপারেশন জ্যাকপট
৫৮। বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্ত মোট মুক্তিযোদ্ধা – ৬৭৬জন (বীরশ্রেষ্ঠ -৭জন, বীরউত্তম -৬৮জন, বীরবিক্রম -১৭৫জন এবং বীরপ্রতীক -৪২৬জন)
৫৯। মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি নাগরিক – ডব্লিউ এস ওডারল্যান্ড (বীরপ্রতীক) [তাঁর জন্ম নেদারল্যান্ডসে এবং পিতৃভূমি অস্ট্রেলিয়ায়]
৬০। বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মহিলা – ২ জন ( ক্যাপ্টেন ডা. সেতারা বেগম ২নং সেক্টর এবং তারামন বিবি ১১নং সেক্টর)

৬১। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব- বীরশ্রেষ্ঠ
[ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব- বীরশ্রেষ্ঠ ]
৬২। বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি কোন সম্প্রদায়ের? – খাসিয়া
৬৩। সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ পরিচিত :(পদবী-নাম-সেক্টর-কর্মস্থল-জন্মস্থান-মৃত্যুতারিখ-সমাধি)
★ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফ -১নং- ইপিআর-ফরিদপুর-৭এপ্রিল-রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর
★ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ -৮নং- ইপিআর-নড়াইল-×-যশোর জেলার কাশিপুর গ্রাম
★সিপাহী মোস্তফা কামাল – ২নং-সেনাবাহিনী-ভোলা-১৭এপ্রিল ১৯৭১-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়
★সিপাহী হামিদুর রহমান -৪নং-সেনাবাহিনী-ঝিনাইদহ-×-ত্রিপুরার হাতিমেরছড়া থেকে ১১ডিসেম্বর২০০৭ দেশে এনে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় সমাহিত করা হয়
★ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর -৭নং-সেনাবাহিনী-বরিশাল-১৪ডিসেম্বর,১৯৭১-চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে
★ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান -×-বিমানবাহিনী-ঢাকা-×-পাকিস্তানের করাচির মৌরিপুর মাশরুর ঘাটিতে তাঁর সমাধি ছিল। পরবর্তীতে ২৫জুন,২০০৬ সালে দেশে এনে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় সমাহিত করা হয়।
★স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন- ১০নং-নৌবাহিনী-নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী -৬ডিসেম্বর১৯৭১-খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর তীরে
৬৪। কোন বিদেশি সাংবাদিক ১৯৭১সালে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি বর্বরতার খবর সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন?- সাইমন ড্রিং
৬৫। বিবিসি’র সাংবাদিক ‘মার্ক টালি ‘পুরোটা সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার করে গেছেন।
৬৬। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘আকাশবাণী কলকাতা’ থেকে প্রচারিত ‘সংবাদ পরিক্রমা ‘র পাঠক ছিলেন – দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৭। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জন্য পক্ষে ছিল – ভারত এবং রাশিয়া
[সোভিয়েত ইউনিয়ন নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করেছিলো।]
৬৮। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিল – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন
[চীন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদান করে
৬৯। পাকিস্তানের সমর্থনে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠায়। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের বাইরে সবচেয়ে বড় নেভাল ফোর্স সপ্তম নৌবহর। এর প্রধান ঘাঁটি জাপানের ইয়াকোসুকায়।
৭০। ১আগস্ট,১৯৭১ ‘The Concert for Bangladesh ‘ অনুষ্ঠিত হয়েছিল – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে
[নিউইয়র্কের ‘ম্যাডিসন স্কয়ার ‘-এ দ্য বিটলস ব্র্যান্ডের উদ্যোগে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়। ]

৭১। ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের কাছে কে তুলে ধরেন? – জর্জ হ্যারিসন, সাইমন ড্রিং, পণ্ডিত রবি শংকর, বব ডিলান, এরিক ক্লাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রিস্টন, ওস্তাদ আয়াত আলী খাঁ, মার্ক টালি, দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
৭২। ১৯৭১সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ১ম জেলা হিসেবে ‘যশোর ‘ শত্রুমুক্ত হয়।
৭৩। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন- গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ.কে.খন্দকার
৭৪। মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়?- ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
৭৫। বাংলাদেশকে এযাবৎ স্বীকৃতি দিয়েছে – ১৫০টি দেশ
[ভুটান সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তবে সর্বশেষ স্বীকৃতি দেয় চীন। ]
৭৬। ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় -৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
[ ২য় দেশ হিসেবে ‘ভারত ‘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। ভুটানের কয়েকঘন্টার পর ভারত দেয়।]
৭৭। ১ম ইউরোপীয় অথবা ১ম সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কোন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? – পূর্ব জার্মানি
৭৮। ১ম মুসলিম দেশ অথবা ১ম আফ্রিকার দেশ হিসাবে কোন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? – সেনেগাল
৭৯। ১ম আরব দেশ/১ম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসাবে কোন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? – ইরাক
৮০। ১ম অ-আরব/দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ হিসাবে কোন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? – ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া

৮১। পরাশক্তিগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয় – রাশিয়া
৮২। কতিপয় দেশ ও স্বীকৃতিঃ
★ফ্রান্স– ১৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২
★ যুক্তরাষ্ট্র — ৪ এপ্রিল, ১৯৭২
★ চীন– ৩১ আগস্ট, ১৯৭৫
★ পাকিস্তান — ২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৪
★ সৌদিআরব – ১৬ আগস্ট, ১৯৭৫
৮৩। বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে ‘কমনওয়েলথ ‘এর সদস্যপদ লাভ করে।
৮৪। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশঃ (সংস্থা-তারিখ-অবস্থান)
★কমনওয়েলথ– ১৮ এপ্রিল, ১৯৭২– ৩২তম
★ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) -১৭ মে,১৯৭২
★ বিশ্ব ব্যাংক- ১৭ আগস্ট, ১৯৭২
★ইউনেস্কো– ২৭ অক্টোবর, ১৯৭২
★ ন্যাম– ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩
★ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা( FAO) – ১২ নভেম্বর, ১৯৭৩
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)– ১৯৭৩
★ ওআইসি– ২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৪– ৩২তম
★ ফিফা (FIFA)– ১৯৭৪
★ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-১ জানুয়ারী, ১৯৯৫
★ জাতিসংঘ – ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪– ১৩৬তম
★ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)– ২৬ জুন, ২০০০
৮৫। জাতিসংঘের কততম অধিবেশনে বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করে? – ২৯তম
৮৬। জাতিসংঘে সর্বপ্রথম কোন রাষ্ট্রনায়ক বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন?- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
[২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪খ্রি. ২৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১ম বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন। ]
৮৭। বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয় কত সালে? – ১৯৮৬ সালে
[জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশন ]
৮৮। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১ম বাংলাদেশী সভাপতি কে?- হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী
৮৯। বাংলাদেশ কতবার স্বস্তি পরিষদের (নিরাপত্তা পরিষদ) সদস্য পদ লাভ করে? – ২ বার
[ ১মত, ১৯৭৯-১৯৮০ সালে এবং ২য়ত, ২০০০-২০০১ সালে]
৯০। বাংলাদেশে কোন সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে আসছে?- ১৯৮৮ সালে

৯১। জাতিসংঘের মহাসচিব হিসাবে ১ম কোন মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেন? – কুর্ট ওয়াল্ড হেইম (১৯৭৩)
৯২। ‘বাংলাদেশ স্কয়ার’ অবস্থিত – লাইবেরিয়া
৯৩। ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট ‘ অবস্থিত- আইভরি কোস্ট
৯৪। মিত্রবাহিনী ( মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতীয় বাহিনী) বাংলাদেশ ত্যাগ করে – ১২ মার্চ, ১৯৭২
৯৫। ভারত- বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১৯ মার্চ,১৯৭২
৯৬। স্বাধীনতার পরে ইন্দিরা গান্ধী ১ম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আগমন করেন – ১৭ মার্চ, ১৯৭২
৯৭। বঙ্গবন্ধু কবে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন?-১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী
৯৮। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন – কে.এম. শফিউল্লাহ
৯৯। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় – ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫
১০০। বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হন- ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫
১০১। ‘ওয়ান-ইলেভেন’ কোন দেশের রাজনৈতিক ঘটনার সাথে জড়িত?- বাংলাদেশ
১০২। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান – ভারত
১০৩। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সংবিধান – যুক্তরাষ্ট্র
১০৪। অলিখিত সংবিধান – ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, স্পেন প্রভৃতি
১০৫। গণপরিষদের সদস্য ছিল – ৪০৩জন
১০৬। গণপরিষদের ১ম অধিবেশন বসে – ১০ এপ্রিল, ১৯৭২
১০৭। গণপরিষদের ১ম স্পিকার- শাহ আবদুল হামিদ
১০৮। বাংলাদেশ সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য ছিল – ৩৪জন
১০৯। বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির প্রধান ছিলেন – ড. কামাল হোসেন
[ ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের সংবিধানের জনক বলা হয়। ]

১১০। সংবিধান কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন – বেগম রাজিয়া বানু
১১১। বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয়- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২
১১২। বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহীত হয়- ৪ নভেম্বর, ১৯৭২
[ এজন্য ‘৪ নভেম্বর ‘ বাংলাদেশের ‘সংবিধান দিবস’ হিসাবে পালিত হয়।]
১১৩। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর বা প্রবর্তিত হয়- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
১১৪। গণপরিষদের কতজন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেছিলেন? – ৩০৯জন
১১৫। বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন – বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী
১১৬। বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১১৭। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন- সংবিধান
১১৮। সংবিধানের ভাগ/অধ্যায়- ১১টি
১১৯। সংবিধানের অনুচ্ছেদ সংখ্যা- ১৫৩টি
১২০। বাংলাদেশের সংবিধান কি দিয়ে শুরু হয়েছে? – বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১২১। বাংলাদেশের সংবিধানের তফসিল কয়টি?- ৭টি
১২২। বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম, ৬ষ্ঠ,৭ম তফসিল লিখুন-
★৫ম তফসিল – ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণ
★ ৬ষ্ঠ তফসিল – ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ২৬শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা
★৭ম তফসিল – ১৯৭১সালের মুজিবনগর সরকারের ১০এপ্রিল জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

১২৩। বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ ও বিষয়বস্তুঃ

১ম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
★ ১নং——-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম)
★ ২(ক)—— প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম
★ ৩ ———- প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা
★ ৪(১)——- প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’র ১ম দশ চরণ
★ ৪(ক)—— জাতির পিতার প্রতিকৃতি
★ ৫ ———- প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা
★ ৬ (২)—— বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে ‘বাঙালি ‘ এবং নাগরিকগণ ‘…. …………. বাংলাদেশি’ বলে পরিচিত হবে।
★ ৭(১)—— প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ
~বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশের সাংবিধানিক নামের ইংরেজি পাঠ- The People’s Republic of Bangladesh
(ii) জাতীয় পতাকার রঙ- ২টি। লাল ও সবুজ
(iii) জাতীয় প্রতীকে গাছের ধরন তিনটি। যথা- ধান, শাপলা এবং পাট। দুটি ধানের শীষ এবং পাট গাছের পাতা তিনটি। তারার সংখ্যা ৪টি। তারাগুলো বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতিকে বুঝিয়েছেন।

২য় ভাগঃ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
★ ৮নং——– জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা চারটি মূলনীতি
★ ৯ ——- বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি
★ ১০—– সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে
★ ১১—– গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
★১২—— ধর্ম নিরপেক্ষতা
★ ১৪—– কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
★ ১৫ —– মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
★ ১৭ —– অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
★ ১৮—– জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
★১৮(ক)- পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
★১৯(৩)– জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবেন।
★২১(২)— সকল সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।
★ ২২—– নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ
★ ২৩—– জাতীয় সংস্কৃতি
★ ২৩(ক)- উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি
★২৫ —— আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
~ বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশ সংবিধানের মূলনীতি (রাষ্ট্রীয়) – ৪টি। যথা- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা
(ii) জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণ – ৫টি। যথা- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষা
(iii) বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭নং ধারায় শিক্ষার জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

৩য় ভাগঃ মৌলিক অধিকার
★ ২৭ নং— আইনের চোখে সবাই সমান
★ ২৮(২)—- রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবেন।
★ ৩২——- জীবন ও ব্যক্তির স্বাধীনতার অধিকার
★ ৩৪—— জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ
★ ৩৬ ——- চলাফেরার স্বাধীনতা
★ ৩৭ ——- সমাবেশের স্বাধীনতা
★ ৩৮ ——- সংগঠনের স্বাধীনতা
★৩৯ (১)— চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা
★৩৯(২-ক)- বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা
★৩৯(২-খ)- সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
★ ৪০—— পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা (কাজের স্বাধীনতা)
★ ৪১——- ধর্মীয় স্বাধীনতা
★ ৪২——- সম্পত্তির অধিকার
~বিবিধঃ
(i) ব্যক্তি স্বাধীনতার অন্যতম রক্ষাকবচ – বিচারবিভাগ
(ii) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি হলো- ৪৭
(iii) নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য অধিকারসমূহঃ যথা-
★ সামাজিক অধিকারসমূহ-
a) জীবন ধারণের অধিকার
b) সম্পত্তির অধিকার
c) চলাফেরা, সমাবেশ ও সমিতি করার অধিকার
d) চিন্তা, মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অধিকার
e) ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার
f) ধর্ম চর্চার অধিকার
g) শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার
h) পরিবার গঠনের অধিকার
i) কর্মলাভের ও সামাজিক অর্থনৈতিক সুবিচারের অধিকার
★রাজনৈতিক অধিকারসমূহ-
a) বসবাসের অধিকার
b) ভোট দানের অধিকার
c) সরকারের সমালোচনা করার অধিকার
d) সরকারি চাকরি লাভের অধিকার
e) প্রবাসে নিরাপত্তা লাভের অধিকার

৪র্থ ভাগঃ নির্বাহী বিভাগ
★ ৪৯নং—– রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার
★ ৫১——– রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
★ ৫২——– দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে রাষ্ট্রপতির অভিশংসন
★ ৫৯——– স্থানীয় শাসন
★৬১ ——— বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগের সর্বাধিনায়কতা ‘রাষ্ট্রপতির ‘ উপর ন্যস্ত হবে।
★৬৩ ——— সংসদের অনুমতি ব্যতীত যুদ্ধ ঘোষণা করা যাবে না কিংবা প্রজাতন্ত্র কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না।
★ ৬৪——- অ্যাটর্নি জেনারেল
~বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাঁর বয়স কমপক্ষে কত বছর হতে হবে?- ৩৫ বছর
(ii) বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে তাঁর বয়স কমপক্ষে কত বছর হতে হবে? – ২৫ বছর
(iii) কার উপর আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই? – মহামান্য রাষ্ট্রপতি
(iv) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন – রাষ্ট্রপতি
(v) সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী। তিনি জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
(vi) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ -৫ বছর
(vii) প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ -৫ বছর
(viii) বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, দু’মেয়াদের অধিক কেউ রাষ্ট্রপতি পদে আসীন থাকতে পারবেন না।
(ix) স্পিকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে রাষ্ট্রপতি স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন।
(x) রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য,পদত্যাগ কিংবা অনুপস্থিতি অথবা অসুস্থতার দরুন তাঁর পরিবর্তে স্পিকার ‘রাষ্ট্রপতির আসনে’ অধিষ্ঠিত হতে পারবেন।
(xi) সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হবে।
(xii) মন্ত্রীসভা যৌথভাবে জাতীয় সংসদের নিকট দায়ী থাকবেন।
(xiii) সরকারের সকল নির্বাহী ব্যবস্থা ‘রাষ্ট্রপতির ‘ নামে গৃহীত হয়।
(xiv) বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইনজীবীকে বলা হয় – অ্যাটর্নি জেনারেল
(xv) প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগদান করেন কে?- রাষ্ট্রপতি
(xvi) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির অভিশংসন করেন কে?- জাতীয় সংসদ
(xvii) প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগের বাইরে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ব্যতীত কোন কাজ এককভাবে করতে পারেন? – প্রধান বিচারপতি নিয়োগ
(xviii) বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগদান করেন কে?- রাষ্ট্রপতি
(xix) বাংলাদেশের সাংবিধানিক কোন পদের নির্দিষ্ট কোনো সীমা/মেয়াদ নেই? – এটর্নি জেনারেল ( কারণ রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত Attorney General স্বীয় পদে বহাল থাকেন।)
(xx) বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন? – জাতীয় সংসদ

৫ম ভাগঃ আইনসভা
★৬৫নং—- জাতীয় সংসদ (House of the Nation) নামে বাংলাদেশের একটি সংসদ থাকবে।
★৭০——- পদত্যাগ ইত্যাদি কারণে আসন শূন্য হওয়া
★ ৭৩——- সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
★ ৭৪——- স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার
★ ৭৭——- ন্যায়পাল
★ ৮১——- অর্থবিল
★ ৮৭——- বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি (বাজেট)
★ ৯৩——- অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা
~বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কয় কক্ষ বিশিষ্ট? – এক কক্ষ
(ii) কে আইন প্রণয়ন করেন? – আইনসভা/জাতীয় সংসদ
(iii) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইংরেজি নাম-” House of the Nation”.
(iv) বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা -৩৫০জন; এরমধ্যে নির্বাচিত সদস্য আসন ৩০০ টি এবং সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি।
(v) সংসদ সদস্য হতে হলে বয়স প্রয়োজন ২৫ বছর।
(vi) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন কে?- রাষ্ট্রপতি
(vii) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত সদস্যের উপস্থিতিতে?- ৬০জন
(viii) সংসদের এক অধিবেশন শেষ হওয়ার কতদিন পর আরেক অধিবেশন ডাকা বাধ্যতামূলক?- ৬০ দিন
(ix) সাধারণ নির্বাচনের কতদিনের মধ্যে সংসদ আহ্বান করতে হয়?- ৩০দিন
(x) একজন সংসদ সদস্য স্পিকারের অনুমতি ছাড়া সর্বোচ্চ ৯০ দিন সংসদের বাইরে থাকতে পারেন তবে সংসদে তার সদস্যপদ একটানা ৯০দিন অনুপস্থিত থাকার জন্য বাতিল করার এখতিয়ার রয়েছে।
(xi) সংসদে ‘casting vote’ কি?- স্পিকারের ভোট
(xii) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সভাপতি কে?- স্পিকার
(xiii) সাংবিধানিক যে পদটি আজও বাস্তবায়িত হয়নি- ন্যায়পাল
(xiv) ১২৪১ সালে সুইডেনে ১ম ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
(xv) অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করতে পারেন কে?- রাষ্ট্রপতি
(xvi) ‘Ordinance’ এর বাংলা শব্দ- অধ্যাদেশ
(xvii) সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিল সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করার কতদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি তাতে সন্মতি দান করবেন? – ১৫ দিন
(xviii) কার সম্মতি ছাড়া কোনো বিল পাস করা যাবে না? – রাষ্ট্রপতির
(xix) সংসদে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের উত্থাপিত বিলকে বলে- সরকারি বিল
(xx) সংসদে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছাড়া অন্য সংসদ সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত বিলকে বলে- বেসরকারি বিল

৬ষ্ঠ ভাগঃ বিচার বিভাগ
★ ৯৪নং— ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ‘ নামে বাংলাদেশের একটি সর্বোচ্চ আদালত থাকবে।
★১০৮—– ‘কোর্ট অব রেকর্ড ‘ রূপে সুপ্রিম কোর্ট
★ ১১৭—– প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল
~বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন কয়টি?- ২টি। যথা- আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ
(ii) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে নিয়োগ দান করেন?- রাষ্ট্রপতি
(iii) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স- ৬৭ বছর
(iv) বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক- সুপ্রিম কোর্ট
(v) কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অন্যায়ের স্বীকার হলে প্রতিকারের জন্য কোথায় রিট করতে পারেন? এবং এটা সংবিধানের কত নং ধারায় সেই অধিকারটি রয়েছে? – মহামান্য হাইকোর্টে এবং ১০২নং ধারাবলে।

৭ম ভাগঃ নির্বাচন
★১১৮নং—- নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা
~বিবিধঃ
(i) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে নিয়োগ দেন?- রাষ্ট্রপতি
(ii) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদকাল – ৫ বছর
(iii) বাংলাদেশের কোন ব্যক্তির ভোটাধিকার প্রাপ্তির ন্যূনতম বয়স কত?- ১৮ বছর
(iv) কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে কিংবা কোনো সংসদ সদস্যপদ শূন্য/খারিজ হলে পরবর্তী কত দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হয়?- ৯০দিন

৮ম ভাগঃ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
★ ১২৭নং— মহাহিসাব নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা
~বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক পদে নিয়োগ দেন কে?- রাষ্ট্রপতি
(ii) মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বয়স নিয়োগ লাভের তারিখ থেকে ৫ বছর বা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত।

৯ম ভাগঃ বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
★১৩৭নং— সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠা
★ ১৪১—– সরকারি কর্ম কমিশন প্রতি বছর মার্চ মাসের ১ তারিখে বা তার পূর্বে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত এক বছরের কার্যাবলী সম্পর্কে রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন এবং তা রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করবেন।
★১৪১(ক)— জরুরি অবস্থা ঘোষণা
~বিবিধঃ
(i) সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি
(ii) বাংলাদেশের সরকারি কর্ম কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট? – জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
(iii) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (BCS) ক্যাডার সংখ্যা – ২৬টি
(iv) সরকারি কর্মকমিশনের প্রধান ও সদস্যদের মেয়াদ নিয়োগ লাভের তারিখ থেকে ৫ বছর কিংবা ৬৫ বছর পূর্ণ পর্যন্ত
(v) রাষ্ট্রপতি ঘোষিত জরুরি অবস্থার মেয়াদ সর্বোচ্চ – ১২০দিন (চার মাস)
(vi) জরুরি অবস্থা ঘোষণায় মৌলিক অধিকার রহিত হয়।

১০ম ভাগঃ সংবিধান সংশোধন
★১৪২নং— সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা
~বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনে মোট সদস্যের কত অংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন? – দুই-তৃতীয়াংশ
(ii) সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে পূর্বে সাংবিধানিক গণভোট (Referendum) এর বিধান ছিল। সংবিধান [পঞ্চদশ সংশোধন ] আইন, ২০১১তে গণভোটের বিধান রহিত করা হয়।
(iii) বাংলাদেশে এযাবৎ তিনটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(iv) ১ম গণভোট অনুষ্ঠিত হয় – ৩০মে, ১৯৭৭ (প্রশাসনিক)
(v) ২য় গণভোট অনুষ্ঠিত হয় – ১ মার্চ, ১৯৮৫ ( প্রশাসনিক)
(vi) ৩য় গণভোট অনুষ্ঠিত হয় – ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১( সাংবিধানিক)

১১তম ভাগঃ বিবিধ
★ ১৪৬নং— বাংলাদেশের নামে মামলা
★ ১৫২—— আইনের ব্যাখ্যা
★ ১৫৩—— উল্লেখ, প্রবর্তন ও নির্ভরযোগ্য পাঠ
~বিবিধঃ
(i) বাংলাদেশের সংবিধানের পূর্ণ নাম- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান (The Constitution of the People’s Republic of Bangladesh)
(ii) সংবিধান প্রবর্তন করা হয়েছে – ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
(iii) বাংলাদেশ সংবিধানের ভাষা- ২টি। যথা- বাংলা ও ইংরেজি
(iv) বাংলাদেশ সংবিধানের সর্বশেষ ভাষ্য- বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাবে।
১২৪। শপথ গ্রহণঃ(যিনি শপথ পড়ান- যাদের শপথ পড়ান)
★ রাষ্ট্রপতি — প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি
★স্পিকার– সংসদ সদস্য
★ প্রধান বিচারপতি– রাষ্ট্রপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
★ প্রধান নির্বাচন কমিশনার- কোনো কারণে স্পিকার অসামর্থ্য হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারই সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
১২৫। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানঃ
★ জাতীয় সংসদ
★ প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল
★ নির্বাচন কমিশন
★ মহাহিসাব নিরীক্ষক
★ সরকারি কর্মকমিশন
১২৬। সাংবিধানিক পদসমূহঃ
★রাষ্ট্রপতি
★ প্রধানমন্ত্রী
★ স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার
★ প্রধান বিচারপতি
★ অ্যাটর্নি জেনারেল
★ সংসদ সদস্য
★ ন্যায়পাল
★ মহাহিসাব নিরীক্ষক
★ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান
★ প্রধান নির্বাচন কমিশনার
১২৭। বাংলাদেশের সংবিধান এ পর্যন্ত কতবার সংশোধন করা হয়েছে? – ১৭ বার
১২৮। বাংলাদেশ সংবিধানের উল্লেখযোগ্য সংশোধনীসমূহঃ(সংশোধনীর সিরিয়াল নং- তারিখ – বিষয়বস্তু)
★১ম সংশোধনী–১৫ জুলাই, ১৯৭৩– যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-সংক্রান্ত
★২য় সংশোধনী– ১৯৭৩– জরুরি অবস্থা ঘোষণা
★৪র্থ সংশোধনী– ২৫ জানুয়ারী, ১৯৭৫– সংসদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনপদ্ধতি চালু করা এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি (বাকশাল) প্রবর্তন।
★৫ম সংশোধনী– ১৯৭৯– ১৯৭২সালের সংবিধানের মূলনীতির পরিবর্তন, ‘বাঙালী ‘ জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশি’ জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন এবং সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ‘ সন্নিবেশিত হয়।
★ ৮ম সংশোধনী– ১৯৮৮– রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’কে স্বীকৃতি দান, ‘Dacca’ এর নাম ‘Dhaka’, ‘Bengali ‘এর নাম ‘Bangla ‘ করা হয়।
★১২তম সংশোধনী– ১৯৯১– রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে পুনরায় সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন। উপ-রাষ্ট্রপতি, উপ-প্রধানমন্ত্রী পদগুলো বিলুপ্ত করা হয়। উল্লেখ্য যে, দ্বাদশ সংশোধনীকে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর বিপরীত সংশোধনী বলা হয়।
★১৩তম সংশোধনী–×– অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন
★ ১৫তম সংশোধনী– ৩০জুন,২০১১– তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা ‘ স্বীকৃতি এবং তাঁর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ করা, সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে ৫০ এ উন্নত করা। ১৯৭২সালের সংবিধানের মূলনীতিতে চলে যাওয়া। ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম এই তিনটি তফসিল সংযোজন ইত্যাদি।
★১৬তম সংশোধনী- ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪– বিচারপতিদের অভিশংসন বা অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদে অর্পণ
★ ১৭তম সংশোধনী– ৮ জুলাই, ২০১৮

মোঃ দেলোয়ার হোসেন
প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ডেমরা কলেজ, ঢাকা -১৩৬০।

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =