আবু সাঈদ রিমন সাহেবের ভাইভা অভিজ্ঞতা

প্রার্থী : আবু সাঈদ রিমন,SUST
প্রথম বিসিএস এর ভাইভা অভিজ্ঞতা ঃ
তারিখঃ ২২ আগস্ট, ২০১৯
বোর্ডঃ ড. সাদিক স্যার
আমি সম্ভবত ১০ম ক্যান্ডিডেট ছিলাম। ১ টার দিকে ডাক পড়লো। অনুমতি নিয়ে ঢুকে সালাম দিয়ে স্যারদের সামনে দাঁড়ালাম। চেয়ারম্যান স্যার বসতে বললেন। সবাইকে আমার প্রফাইল পড়ে শুনালেন শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি – ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন তুমি হবিগঞ্জ থেকে এসেছ?
আমিঃ জ্বি স্যার। হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ
এক্স-১ স্যার বললেন Tell about your namesake
আমি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পর্কে বলতে আরম্ভ করলাম। ( বিঃদ্রঃ আমি তখনো namesake ওয়ার্ডটার সাথে পরিচিত ছিলাম না। ধরে নিছিলাম যে উনার সম্পর্কেই জানতে চাইছে)
এবার চেয়ারম্যান স্যার একটা মরমি গানের দুই লাইন বলে জিজ্ঞাস করলেন এই গানের শিল্পী কে চিন?
আমি গানটা শুনেছি কিন্তু শিল্পীর নাম জানতাম না তাই সরি বললাম। কিন্ত স্যার ছেড়ে দিলেন না। স্যার বললেন তোমার বাসার কাছেই তো উনার বাড়ি। স্যার একটা জায়গার নাম বললেন যে ঐ জায়গা চিনি কি না। আমি এবারো সরি বললাম। স্যার বললেন উনার মাজারে প্রতি বছর উরস হয়- যাও নি কখনো? আমি বললাম যাওয়া হয় নি স্যার। নিজ এলাকার একজন মরমী সাধককে না চিনায় বোর্ড মেম্বার স্যারদের পচানি খাইলাম।
এক্সটার্নাল -১ স্যার আমার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নাম জানতে চাইলেন- বললাম। স্যার বললেন উনাদেরকে তো চিনো দেখা যায়।
চেয়ারম্যান স্যার এবার বললেন তোমাকে একটা প্রশ্ন করবো – বুঝে উত্তর দিবা, মার্ক্স আছে কিন্তু
স্যার বললেন সন্তানের জন্য মা জীবন দেন এরকম বহু উদাহরণ আছে কিন্তু মা এর জন্য সন্তান জীবন দিছে এরকম কোন ঘটনা তোমার জানা আছে?
মুক্তিযুদ্ধের কথা বলায় স্যারদের সন্তুষ্ট মনে হল। স্যারদের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হল ঐ মরমি শিল্পীকে না চেনার অপরাধ স্যাররা ক্ষমা করে দিয়েছেন।
পরে চেয়ারম্যান স্যার আবার বললেন আরেকটা প্রশ্ন করবো, মার্ক্স আছে।
স্যার বললেন ধর তুমি ডিসি। জেলার অন্যান্য অফিসারদের সাথে বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়েছ। হঠাৎ করে পা পিছলে কাঁদায় পড়ে গেলা তখন তুমি কী করবা..
আমার উত্তরটা শুনে সব স্যাররা হাসতে লাগলেন। এক্স-১ স্যার বললেন তোমার সেন্স অব হিউমার ভালো।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন তুমি একজন ডিসি হিসেবে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী একটা ভাষণ দাও৷ ততক্ষণে ভালো কনফিডেন্স চলে আসছে। ৪-৫ মিনিট বক্তব্য দিলাম। ভালোই দিছিলাম মনে হয়- স্যারদের চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছিল যে উনারা সন্তুষ্ট।
তারপর এক্সটার্নাল ২ স্যার ক্যাডার ভিত্তিক প্রশ্ন করা শুরু করলেন। সব গুলা মনে নাই। ৫-৬ টা কোশ্চেন এ ২ বার সরি বলছি।
পরে ফ্যামিলিতে কে কে আছে এসব জিজ্ঞেস করলেন। আরো টুকটাক প্রশ্ন করেছেন- সব মনে নাই
২২-২৪ মিনিটের মত ছিলাম।
শেষ পর্যন্ত Audit and Accounts ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হলাম
মেধাক্রম ঃ ২৭ তম
তথ্য সুত্রঃ https://www.facebook.com/ZakirsBCSspecials/

নিজের সুবিধামত পড়ার জন্য টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − ten =