উপপদ_তৎপুরুষ_সমাস:
এক কথায় প্রকাশ দিয়ে যত শব্দ থাকবে তা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
অব্যয়ীভাব_সমাসঃ
শুধু মনে রাখবেন,অব্যয়ীভাব সমাসের আগে নিম্নোক্ত উপসর্গ গুলো বসে।
উপ, প্রতি, নি, আ, উৎ, অনু, পরি, প্র
উদাহরণ:
উপ–উপকন্ঠ,উপকূল,উপশহর,উপগ্রহ,
উপবন,উপনদী
প্রতি–প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে, প্রতিবাদ, প্রতিকূল, প্রতিচ্ছায়া, প্রতিচ্ছবি, প্রতিপক্ষ, প্রত্যুত্তর-প্রতি+উত্তর, প্রতিবিম্ব।
নি- নিরামিষ,নির্ভাবনা, নির্জল,নিরুৎসাহ
আ- আসমুদ্রহিমাচল, আপাদমস্তক, আনত, আরক্তিম, আজানুলম্বিত, আমরণ।
উৎ- উদ্বেল, উচ্ছৃঙ্খল এগুলো সন্ধিবিচ্ছেদ করলে উৎ উপসর্গ পাবেন।
অনু- অনুক্ষণ, অনুগমন, অনুধাবন
পরি- পরিপূর্ণ, সম্পূর্ণ(সমগ্র বুঝালে)
প্র- প্রপিতামহ, পরোক্ষ
ব্যতিক্রম শুধু ১ টা–যথা- যথারীতি, যথাসাধ্য, যথাবিধি, যথাযোগ্য
উপমিত_ও_উপমান_সমাস
উপমিত: ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি মিথ্যা বা অসমান হলে উপমিত কর্মধারয়।
উদাহরণ. মুখ চন্দ্রের ন্যায়=মুখচন্দ্র
ব্যাখ্যা: বিবৃতিটি মিথ্যা; কারণ মুখ কখনো চন্দ্রের মতো হতে পারে না। অতএব, বিবৃতিটি মিথ্যা তাই এটি উপমিত কর্মধারয়
পুরুষ সিংহের ন্যায়=পুরুষসিংহ
ব্যাখ্যা: বিবৃতিটি মিথ্যা; কারণ পুরুষ সিংহের মতো হতে পারে না।এটি অসমান বিবৃতি। পুরুষ একশ্রেণির আর সিংহ অন্য শ্রেণির।
উপমান:ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি সত্য বা সমান হলে,উপমান কর্মধারয়।
উদাহরণ: অরুণের ন্যায় রাঙ্গা=অরুণ রাঙ্গা
ব্যাখ্যা: বিবৃতিটি সত্য কারণ, অরুণ মানে সূর্য যার রং প্রায়ই লাল আবার রাঙ্গা মানেও লাল। সুতরাং সত্য বিবৃতি তাই উপমান কর্মধারয় সমাস হবে।
তুষারের ন্যায় শুভ্র=তুষারশুভ্র
ব্যাখ্যা: বিবৃতিটি সত্য কারণ তুষার যেমন সাদা ঠিক তেমনি শুভ্রের রংও সাদা। অতএব,এটি উপমান কর্মধারয়।
উদাহরণ
জলে চরে যা-জলচর
জল দেয় যে-জলদ
পঙ্কে(কাঁদায়)জন্মে যা-পঙ্কজ
ছা দিয়ে পোষা-ছা-পোষা
ছাই থেকে উৎপন্ন যে পোকা-ছারপোকা
ধামাধরা-ধামা ধরে যে
বর্ণ লুকায় যে চোর-বর্ণচোরা
বহুব্রীহি_সমাস
বহুব্রীহি_সমাস_যেভাবে_সহজে_চিনবেন
যে সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ কোনটিরই অর্থ না বুঝিয়ে, তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ , সমস্ত পদকে বুঝিয়ে থাকে,তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
উদাহরণ: খোশ মেজাজ যার- খোশমেজাজ
এখানে, পূর্বপদ খোশ মানে খুশি, আবার মেজাজ মানে মানসিক অবস্থা।
এবার দেখুন, সমস্তপদে খুশি কেও বোঝায়নি আবার মেজাজকেও বোঝায়নি
অর্থাৎ,খোশমেজাজ কে বুঝিয়েছে।মানে,ভালো মেজাজ ওয়ালা ব্যক্তিকে বুঝিয়েছে।
আশীতে বিষ যার- আশীবিষ
এখানে, পূর্বপদ আশী মানে সাপের বিষ দাঁত, আবার বিষ মানে বিষ বা বিষাক্ত কিছু। এবার দেখুন, সমস্তপদে আশীবিষ মানে সাপ অর্থাৎ, সাপের বিষ দাঁতকেও বোঝায়নি আবার বিষকেও বোঝায়নি, বুঝিয়েছে সাপকে।
হত হয়েছে শ্রী যার- হতশ্রী
এখানে, হত মানে চুরি, আবার শ্রী মানে মুখমন্ডল বা সৌন্দর্য।
এবার দেখুন সমস্তপদে হতশ্রী মানে যে খুব
অসহায়, যার কিছু নেই। অর্থাৎ, হতকেও বোঝায়নি আবার মুখকেও বোঝায়নি, বুঝিয়েছে যার কিছু নেই।
ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়।
উদাহরণ: লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই-লাঠালাঠি
হাতে হাতে যে যুদ্ধ-হাতাহাতি
কানে কানে যে শব্দ-কানাকানি
নিত্যসমাস:
নিত্য সমাসের নিম্নোক্ত ছয়টা উদাহরণ এর বাহিরে পরীক্ষায় সাধারণত আসে না।
যেভাবে মনে রাখবেন:
আমরা গ্রামে নিত্য কালসাপ দর্শন করি বিরানব্বই টাকার টিকেটে।
ব্যাখ্যাঃ
আমরা>আমি, তুমি ও সে=আমরা
গ্রামে>গ্রামান্তর, গৃহান্তর
নিত্য >নিত্য সমাস
কালসাপ> কালসাপ
দর্শন>দর্শনমাত্র
বিরানব্বই>দুই এবং নব্বই=বিরানব্বই
প্রাদি_সমাস:
প্রাদি সমাসের সাথে অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণের সাথে কিছুটা মিল আছে। তাই প্রাদি সমাসের নিম্নোক্ত কৌশলটি শিখে নিলে অব্যয়ীভাব সমাসে আর কোনো কনফিউশন থাকবে না। প্রাদি সমাসের এ উদাহরণগুলো ছাড়া পরীক্ষায় এর বাহিরে আসে না।
টেকনিকঃ
বচন মিয়া প্রভাতে পরিভ্রমণ করে শরীরে গতি ও তাপ উৎপন্ন করল।
ব্যাখ্যাঃ বচন>প্রবচন
প্রভাতে>প্রভাত;পরিভ্রমণ
গতি>প্রগতি
তাপ>অনুতাপ
লেখক:
ইকারাস চৌধুরী ইকরাম