১. বাইশা কী :- মনসামঙ্গল কাব্যের ২২জন ছোট-বড় কবি।
২. কোন মহাপুরুষ একটি বাংলা পংক্তি না লিখলেও তাঁর নামে একটি যুগের সূচনা হয়েছে :- শ্রীচৈতন্যযুগ।
৩. চৈতন্য যুগের ব্যাপ্তি :- ১৫০১- ১৬০০
৪. কড়চা ‘ শব্দের শাব্দিক অর্থ :- ডায়রি বা দিনলিপি। (বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ কড়চা নামে পরিচিত)
৫. নবীবংশ, রসুলবিজয় -জীবনীগ্রন্থের রচয়িতা কে :- সৈয়দ সুলতান।
৬. নাথ সাহিত্যের প্রধান কবি :- শেখ ফয়জুল্লাহ।
৭. তাঁর রচিত নাথ সাহিত্য :- গোরক্ষবিজয়।
৮. “মর্সিয়া” শব্দটি আরবি, এর অর্থ :- শোক বা আহাজারি।
৯. মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি :- শেখ ফয়জুল্লাহ।
১০. ফয়জুল্লাহ রচিত মর্সিয়া সাহিত্যকর্ম :- ‘জয়নবের চৌতিশা ‘
১১. দৌলত উজির বাহারাম খানের প্রথম কাব্য :- জঙ্গনামা বা মক্তুল হোসেন। (এটি মর্সিয়া সাহিত্য। কারবালার যুদ্ধবিগ্রহ এই কাব্যর বিষয় বস্তু।)
১২. বাংলায় অনুবাদ কাব্যের সূচনা হয় কোন যুগে :- মধ্যযুগ।
১৩. মধ্যযুগে অনুবাদ কাব্যের প্রথম জয়যাত্রা শুরু করেন:- কবি কৃত্তিবাস ওঝা।
১৪. বাল্মিকী রচিত রামায়নের প্রথম অনুবাদক :- কৃত্তিবাস।
১৫. রামায়নের প্রথম মহিলা অনুবাদক :- চন্দ্রাবতী।
(চন্দ্রাবতীর পিতা ছিলেন ‘মনসামঙ্গল ‘ কাব্যের রচয়িতা দ্বিজ বংশীদাস। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। চন্দ্রাবতী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি।)
১৬. কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব রচিত মহাভারতের প্রথম অনুবাদক :- কবীন্দ্র পরমেশ্বর। (আলাউদ্দীন হোসেন শাহের সেনাপতি পরাগল খানের উৎসাহে এই কাব্য রচনা করেন বলে কাব্যটি ‘পরাগলী মহাভারত’ নামে খ্যাত।
১৭. মহাভারতের সবচেয়ে প্রাঞ্জল ও জনপ্রিয় অনুবাদ করেন :- কাশীরাম দাস।
১৮. রোমান্টিক প্রণয়োপখ্যান ধারার প্রথমকবি :- শাহ মুহাম্মদ সগীর।( তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মুসলমান কবি)
১৯. ফারসী প্রেমাখ্যান ‘ইউসুফ-জুলেখার’ অনুবাদক :- শাহ মুহাম্মদ সগীর।
২০. বাংলা সাহিত্যে ‘রোসাঙ্গ’ বা ‘রোসাং ‘ নামে উল্লেখ করা হয়েছে :- আরাকানকে।
২১. আরাকানের অধিবাসীদের বলা হয় :- “মগ”
২২. আরাকান রাজসভার প্রথম বাঙ্গালী কবি :- দৌলত কাজী। (তাঁর রচনা:- সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী-১ম ও ২য় খন্ড)
২৩. আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি:- ‘আলাওল’
২৪. আলাওলের সাহিত্যকর্ম :- হপ্তপয়কর, সিকান্দরনামা, তোহ্ফা, “পদ্মাবতী “, সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী-৩য় খন্ড)
২৫. “চন্দ্রাবতী ” কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা :- কোরেশী মাগন ঠাকুর।
২৬. আরবী লোকগাঁথা “লায়লী-মজনু”কাব্যের রচয়িতা :- দৌলত উজীর বাহারাম খান।
২৭. শ্রীকৃষ্ণবিজয়” কাব্যের রচয়িতা :- মালাধর বসু (তাঁর খেতাব :- গুনরাজ খান)
২৮. কোন সময়কে পুঁথি সাহিত্যের (এটি বটতলার সাহিত্য নামেও পরিচিত) স্বর্ণযুগ বলা হয় : ১৭৬০ থেকে ১৮৬০।
২৯. পুঁথি সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক ও জনপ্রিয় কবি :- ফকির গরীবুল্লাহ। (আদি কবি : গুজলা গুঁই)
৩০. তাঁর রচিত পুঁথি সাহিত্য :-ইউসুফ জুলেখা, আমীর হামজা, জঙ্গনামা, সত্যপীরের পুঁথি)
৩১. মধুমালতী, জৈগুনের পুঁথি, আমীর হামজা (২য় অংশ)– এই পুঁথি সাহিত্যগুলোর রচয়িতা :- সৈয়দ হামজা।
৩২. ফরাসী শব্দ ‘Ballad ” এর অর্থ :- গীতিকা ( Ballet অর্থ ‘নৃত্য ‘)
৩৩. লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া, ইত্যািকে বলা হয় :- লোক সাহিত্য।
৩৪. বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত লোকগীতিকাগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে: ৩ ভাগে। (নাথ, মৈমনসিংহ, পূর্ববঙ্গ গীতিকা)
৩৫. মৈমনসিংহ গীতিকার সংগ্রাহক :- ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
৩৬. মৈমনসিংহ গীতিকা কয়টি ভাষায় অনুদিত হয় :- ২৩ টি ভাষায়।
***উল্লেখযোগ্য মৈমনসিংহ গীতিকা:-
ক. মহুয়ার পালা :-দ্বিজ কানাই,
খ. দেওয়ানা মদিনা :- মনসুর বয়াতি এবং কাজলরেখা।
৩৭. নাথগীতিকা :- ‘মানিকচন্দ্র রাজার গান’ :- সংগ্রাহক :- স্যার জর্জ গিয়ার্সন (রংপুর থেকে)
৩৮. পূর্ববঙ্গ গীতিকা:- নিজাম ডাকাতের পালা, কাফনচোরা।
৩৯. পশুপাখির চরিত্র অবলম্বনে যেসব কাহিনী গড়ে উঠেছে তার নাম :- উপকথা।
৪০. “বারমাস্যা ” বলতে কি বোঝানো হয় :- যে কবিতায় নায়িকার জীবনের বারো মাসের সুখ দুঃখের কাহিনী বর্ননা করা হয়।
৪১. অবক্ষয় যুগের ব্যাপ্তি :- ১৭৬০থেকে ১৮৬০
৪২. যুগসন্ধিক্ষনের কবি :- ইশ্বরচন্দ্রগুপ্ত (তিনি সংবাদ প্রভাকর পত্রিকার সম্পাদক। তাঁর রচিত কবিতা:- ‘কে’।
Excellent