লেখাটা মূলত যারা প্রথমবার বিসিএস দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে; অনেক জায়গায় বলেছি, তবুও যারা মিস করেছেন তাদের জন্য….
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
১. বিসিএস প্রিলি ও রিটেনের সিলেবাস
২. ভাইভার কমন টপিকের তালিকা (যেকোন ক্যাডারই বলতে পারবেন)
৩. বিগত প্রিলিগুলোর প্রশ্ন, বিশেষ করে ৩৫-৩৮তম
কার্যপ্রণালীঃ
ক. প্রথম টেবিল প্রস্তুতিঃ
১. তিনটি কলাম হবেঃ প্রিলি, রিটেন, ভাইভা
২. প্রত্যেক বিষয়ের জন্য আলাদা Row হবে
৩. সিলেবাস অনুযায়ী প্রত্যেক বিষয়ের টপিকগুলোর পূর্ণ তালিকা ও বরাদ্দকৃত নম্বর প্রত্যেক কলামে লিখতে হবে (যেমন- বাংলা ব্যাকরণে সন্ধি, ধ্বনি, সমাস ইত্যাদি)
৪. এবার মেলাতে হবে কোন টপিকগুলো দুই/তিন কলামেই আছে; এই টপিকগুলো ভালভাবে শেষ করতে হবে কারণ এখন ভালভাবে পড়লে রিটেন-ভাইভাতেও কাজে দিবে
৫. এরপর বিগত সালের প্রশ্ন অনুসারে স্টার দিতে হবে টপিকগুলোতে; যত বেশি এসেছে তত বেশি স্টার।
খ. দ্বিতীয় টেবিল প্রস্তুতিঃ
১. তিনটি কলাম হবেঃ পারি, পারিনা কিন্তু পড়লে পারব, পড়লেও পারব না
২. এবার শুধুমাত্র প্রিলির সিলেবাস অনুযায়ী প্রত্যেক টপিক স্ব স্ব কলামে লিখতে হবে; সাথে বরাদ্দকৃত নম্বরও লিখতে হবে
৩. প্রথম কলামের টপিকগুলো নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং দ্বিতীয় কলামের টপিকগুলো ভালভাবে শিখতে হবে
৪. এরপরও যদি ১৬০+ প্রস্তুতি সম্পন্ন না হয়, তবে ৩য় কলামের টপিকগুলোর সকল বিগত সালের প্রশ্ন মুখস্থ (যেহেতু উপায় নাই)
ফলাফলঃ
প্রথম টেবিল থেকে আপনি বিসিএসের সম্পূর্ণ সিলেবাস এবং কোন কোন টপিক গুরুত্বপূর্ণ ও আগে/ভালভাবে শেষ করতে হবে তা বুঝতে পারবেন। আর দ্বিতীয় টেবিল থেকে জানতে পারবেন নিজেকে, নিজের দুর্বলতা ও সক্ষমতাকে; ফলে দিনে কতক্ষণ আপনাকে কি কিভাবে পড়তে হবে সেটা নিজেই ঠিক করতে পারবেন।
সতর্কতাঃ
১. টেবিল বানানোর সময় আলসেমি করা যাবে না; ভালভাবে সিলেবাস ঘেঁটে দেখতে হবে
২. বিগত সালের প্রশ্ন না দেখা বোকামি
৩. প্রথম টেবিল চাইলে কয়েকজনে গ্রুপ করে বানাতে পারেন, কিন্তু দ্বিতীয় টেবিল অবশ্যই নিজে একা বানাবেন
৪. খালি টেবিল বানালেই হবে না, সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিতে হবে; টেবিলগুলো জাস্ট আপনার প্রস্তুতির পরিকল্পনামাত্র।
সবার জন্য শুভকামনা রইল!
রহমত আলী শাকিল
পররাষ্ট্রে ১ম, ৩৭তম বিসিএস (সুপারিশপ্রাপ্ত)